জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স শেষ বর্ষের পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা অ্যাপিয়ার্ড হিসেবে ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় নিতে পারবেন মর্মে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও পরামর্শ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. ফয়জুল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়টির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়ছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯ সালের অনার্স শেষ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষায় যেসব পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন কিন্তু এখনও করোনা মহামারীর কারণে সব পরীক্ষা শেষ করা সম্ভব হয়নি, সেসব পরীক্ষার্থীরা অ্যাপিয়ার্ড হিসেবে ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন মর্মে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তবে যেসব শিক্ষার্থীরা অনার্স শেষ বর্ষের পরীক্ষায় অংশ নিলেও ১ম, ২য় ও তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষায় এক বা একাধিক কোর্সে অকৃতকার্য হয়েছেন, এখনো উত্তীর্ণ হননি, তারা এই সুযোগের বাইরে থাকবেন।
এছাড়া প্রফেশনাল কোর্সে (বিবিএ, সিইসি, বিএড অনার্স এবং ইসিই) যেসব শিক্ষার্থীরা ১ম সেমিস্টার থেকে ৭ম সেমিস্টারের সব কোর্সে উত্তীর্ণ হয়ে ৮ম সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন, কেবল তারাই ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন।
এর আগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ শুক্রবার জানিয়েছেন, আগামী জানুয়ারি মাসে অনার্স ফাইনাল ইয়ারের অবশিষ্ট পরীক্ষা আয়োজনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে আমরা পরীক্ষার সময়সূচী তৈরির কাজ শেষ করে ফেলেছি। সারা দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রে পরীক্ষা আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ৪৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)। প্রার্থীরা আগামী ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৪৩ তম বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৮১৪ জন কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ৩০০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ১০০ জন, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ২৫ জন, শিক্ষা ক্যাডারের জন্য ৮৪৩ জন, অডিটে ৩৫ জন, তথ্যে ২২ জন, ট্যাক্সে ১৯ জন, কাস্টমসে ১৪ জন ও সমবায়ে ১৯ জন নিয়োগ দেওয়া হবে।
আরো পড়ুনঃ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইনে ৬ হাজার লেকচার আপলোড
আপনার মতামত দিন