আজ সারাদেশে উদযাপিত হল শিক্ষক দিবস-২০২২ । এ দিবসটি পালনে সকাল থেকে সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে শিক্ষামন্ত্রী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী অংশগ্রহণে কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে থেকে প্রথমে র্যালি ও পরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
দিবসটি উপলক্ষে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, শিক্ষকতা একটি মহৎ পেশা। আলোকিত সমাজ বিনির্মাণের মাধ্যমে একটি জাতি গঠনে শিক্ষকের ভূমিকা অপরিসীম। সমাজে বিরাজমান নিরক্ষরতা, কুসংস্কার দূরীকরণের মধ্য দিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সমাজের কর্ণধার হিসেবে গড়ে তোলা শিক্ষকের মূল দায়িত্ব।
তিনি আরও বলেন, স্বীকৃতির মাধ্যমে শিক্ষকদের আত্মত্যাগ, সম্মান, শ্রদ্ধাবোধ ও অসামান্য অবদান সমাজে তুলে ধরার লক্ষ্যে জাতিসংঘ ১৯৯৪ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী শিক্ষক দিবস পালন করে আসছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে প্রণীত ড. কুদরাত-এ-খুদা শিক্ষা কমিশনের প্রতিবেদনে শিক্ষকতা পেশার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করার সুপারিশ করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের লক্ষ্যে একদিকে জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ প্রণয়ন করে শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি, কারিকুলাম যুগোপযোগী করা, কারিগরি ও নারী শিক্ষার হার বৃদ্ধির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। অন্যদিকে ভিশন-২০২১, ভিশন-২০৪১ এবং সর্বশেষ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ ঘোষণা করেছেন এবং বর্তমান সরকারের ২০১৮-এর নির্বাচনী ইশতেহার সফলভাবে বাস্তবায়নে শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। একইসঙ্গে বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাভাবনা ও দর্শনকে আমলে নিয়ে আধুনিক, বিজ্ঞানমনস্ক, কর্মমুখী ও তথ্য প্রযুক্তিনির্ভর মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এসডিজি-২০৩০ এর ৪ অনুযায়ী যোগ্য শিক্ষক তৈরির নিমিত্ত কাজ করে যাচ্ছেন।
আপনার মতামত দিন