পা দিয়ে ছবি এঁকে এবার দেশসেরা পুরস্কার পেয়েছে দুই হাত ছাড়া জন্ম গ্রহণ করা ফেনীর দাগনভূঞা একাডেমীর ৭ম শ্রেণির ছাত্র ও দাগনভূঞা উজ্জীবক আর্ট স্কুলের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মোনায়েম।
শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের আয়োজনে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ শুভেচ্ছা কার্ডে স্থান করে নিয়েছিল তার আঁকা ছবি। এজন্য সে পায় উপহারের ঘরসহ নগদ এক লাখ টাকা।
শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের আয়োজনে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা শুক্রবার সকালে অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে পা দিয়ে ছবি আঁকে মোনায়েম। প্রতিযোগিতায় সে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু দলে প্রথম স্থান অর্জন করে।
প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. হাকিম আরিফের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পী হাশেম খান।
দুই ভাইয়ের মধ্যে মোনায়েম বড়। অন্য সবার মতো সহপাঠী, শিক্ষক-শিক্ষিকারা তাকেও অনেক আদর করেন। পা দিয়েই প্রতিদিনের পড়া খাতায় নোট করে সে। পড়ালেখার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতাতেও অংশ নেয় নিয়মিত। তবে, চিত্রাঙ্কনে আগ্রহ দেখে মা তাকে উজ্জীবক আর্ট স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেন। সেদিকে জেলা ও উপজেলায় সেরা হয়ে এখন জাতীয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচিত হয়েছে প্রতিভাবান এ শিশুটি।
মোনায়েম বাংলানিউজকে জানায়, এমন সাফল্যে পরিবারের সবাই খুব খুশি। বড় হয়ে ইঞ্জিনিয়ার হবে- এ স্বপ্ন নিয়েই দিন কাটে তার।
মোনায়েমের মা বিবি কুলসুম বাংলানিউজকে জানান, গত ৭ মার্চ ও ২৬ মার্চ উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় জেলায় দ্বিতীয়, মাতৃভাষা দিবস ও বিজয় দিবসে উপজেলায় দ্বিতীয়, স্বাস্থ্য বিভাগ আয়োজিত পুষ্টি সপ্তাহে জেলায় দ্বিতীয় হয়েছে মোনায়েম। সন্তানের সফলতায় সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।
স্থানীয় উজ্জীবক আর্ট স্কুলের পরিচালক গিয়াস উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, শিশু মোনায়েমকে পা দিয়ে ছবি আঁকার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এর জন্য তার প্রবল ইচ্ছাশক্তি রয়েছে। আগামীতে সে আরও অনেকদূর যাবে বলে আশা করি।
আপনার মতামত দিন