আগামী শুক্রবার মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শুরু হবে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের বিশ্ববিদ্যালয়-মেডিকেল ভর্তিযুদ্ধ। তবে এ যুদ্ধে জয় পেতে হলে তোমাকে ‘আদা জল খেয়ে’ নামতে হবে। নামতে হবে বলতে পড়াশোনা করতে হবে।
ইতোমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করেছে। তবে এখনও ভর্তি নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। তবে খুব শীঘ্রই নির্দেশনা চলে আসবে।
এখানে যে কথাটি না বললেই নয় তা হলো, তোমার স্বপ্ন যেন কখনোই কোনো একটা ভার্সিটিকেন্দ্রিক না হয়ে বরং বিষয়কেন্দ্রিক হয়। যেমন, এমন অনেকেই আছে যার কেবল বুয়েটে পড়ারই স্বপ্ন অথচ সে কখনোই ইঞ্জিনিয়ার হবার স্বপ্ন দেখেনি। আসলে এটা স্বপ্ন নয়, এটা হচ্ছে একটা মোহ। সেইসব শিক্ষার্থী পরে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনার চাপ সামলাতে না পেরে অনেক ক্ষেত্রে বিপথগামী হয়। সুতরাং, কোনো নির্দিষ্ট ভার্সিটিতে পড়ার ইচ্ছে তোমার থাকতেই পারে তবে সেটার আগে বিবেচনায় প্রাধান্য দিতে হবে “বিষয়”-কে।
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ করে একজন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষার আগে প্রায় 120 দিন সময় হাতে পায়। এই 120 দিন বা চার মাস তার জন্য এক অতি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই সময়টাতে প্রচুর পড়াশোনা করলে তবেই আসবে কাঙ্ক্ষিত অর্জন।
পড়ালেখা বাদে অন্যসব সময়সাপেক্ষ কাজ-কর্ম বর্জন করতে হবে। অনেকেই প্রশ্ন করে ‘ভর্তি পরীক্ষার আগে দৈনিক কত ঘণ্টা পড়ব?’
সত্য বলতে এর কোনো নির্দিষ্ট উত্তর নেই। যতক্ষণ না তুমি আত্মবিশ্বাস নিয়ে বলতে পারবে যে তুমি চান্স পাওয়ার মতো যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়েছো, ততক্ষণ পর্যন্ত পড়তেই হবে।
ভর্তি পরীক্ষার জন্য কোনো অধ্যায় বাদ দিয়ে পড়ার সুযোগ নেই। সব অধ্যায়ই পড়তে হবে। তবে বিগত বছরের প্রশ্ন দেখে অধ্যায়ের গুরুত্ব জানা যাবে। তবে এই ব্যাপারটি ভার্সিটি ভিত্তিক। অর্থাৎ একটি ভার্সিটির ভর্তি প্রশ্নে যে অধ্যায় থেকে সচরাচর প্রশ্ন কম আসে তা কেবল ঐ ভার্সিটির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
তাই প্রতিটি ভার্সিটির ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন আলাদাভাবে পর্যবেক্ষণ করলে বুঝা যাবে ঐ ভার্সিটির জন্য কোন অধ্যায় বা টপিক গুরুত্বপূর্ণ। পড়ার পাশাপাশি প্রচুর প্রশ্ন সমাধান অনুশীলন করতে হবে। এর দ্বারা পড়া আরও ঝালাই হবে। প্রশ্নের সাথে পরিচিতি হবে এবং প্রশ্ন দেখার পর উত্তর মাথায় আনার দক্ষতা অর্জিত হবে। এর ক্ষেত্রে তোমরা আসপেক্ট সিরিজের বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক ভর্তি সহায়িকা যেমন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য- রাবিনলেজ, ঢাবি ‘ক’ ইউনিটের জন্য-ঢাবি প্রশ্নব্যাংক, জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটির জন্য- জাবিনলেজ এবং ফার্মানলেজ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য চবিনলেজসহ বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক প্রশ্নব্যাংকগুলি দেখতে পারো। আসপেক্ট সিরিজের বইগুলিতে বিগত বছরের প্রশ্ন, ব্যাখ্যাসহ সমাধান, সেলফ টেস্ট এবং মডেল টেস্ট থাকে যা তোমাকে নির্দিষ্ট ভার্সিটির প্রশ্ন সম্পর্কে ধারণা এবং প্রাকটিসে সহায়তা করবে। আসপেক্ট সিরিজ এর বুয়েট প্রিলি এবং লিখিত প্রস্তুতির জন্য চমৎকার দুটি আদালা বই রয়েছে।
বাজারে এতো এতো বইয়ের ভিড়ে কোনটা রেখে কোনটা পড়বে?
ভর্তি পরীক্ষায় সফলতার জন্য প্রয়োজন সঠিক প্রস্তুতি। না হলে ভর্তি পরীক্ষায় কৃতকার্য হওয়া অনেক কঠিন। তাই সবকিছু বিবেচনা করেই তোমাকে সাজানো গোছানোভাবে সঠিক প্রস্তুতি নিতে হবে।
সঠিক প্রস্তুতির জন্য যে বিষয়গুলো বেশি জরুরি তা হলো
বেশি বেশি রিভিশন এবং বিগত বছরের প্রশ্ন সলভ। যা তুমি আসপেক্ট সিরিজেরর বইগুলিতে পূর্ণাঙ্গভাবে পাবে।
আসপেক্ট সিরিজের বই গুলি সম্পর্কে জানতে: www.networkcareerbd.com
অনেকের মধ্যে দেখা যায়, অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস; আবার অনেক শিক্ষার্থীই পর্যাপ্ত আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভালো করতে পারেন না ভর্তি পরীক্ষায়। ভর্তি পরীক্ষায় অনেক প্রতিযোগী দেখে অনেকেই ভয় পেয়ে যান, আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন। এই আত্মবিশ্বাসহীনতা তাদের হতাশার দিকে ঠেলে দেয়। আবার মাত্রাতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসও ক্ষতিকর। ভালো ফলের জন্য দরকার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রচেষ্টার সঙ্কল্প।
অনেক অনেক দোয়া ও শুভকামনা রইল সকলের প্রতি…
আপনার মতামত দিন