‘আমি নিজের সিদ্ধান্তে অটল ছিলাম। আমি যেমন তেমনই থাকতে চেয়েছি। ওই সাক্ষাৎকারে আমি টিকে যাই। ভালো বৃত্তি পাই। সেই ঘটনা আমাকে আরও আত্মবিশ্বাসী করে।’
আমেরিকার ইতিহাসের প্রথম মুসলিম হিজাবী মহিলা জজ হয়েছেন রাফিয়া আরশাদ। যাকে নিয়ে ইতিমধ্যে মুসলিম বিশ্বের নেতারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করছেন এবং সকল মুসলিম দেশ থেকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন।
১৭ বছর আগে তাঁর এক চাকরির ইন্টারভিউতে তাঁর মা বলেছিলো হিজাব খুলে যেতে, না হলে তাঁকে সিলেকশন করবেনা।
রাফিয়া আরশাদ বলেছিলেন, আমার পর্দার জন্য আমাকে সিলেকশন না করলেও আমি কষ্ট পাবোনা কিন্তু দুনিয়ায় সাময়িক চাকরির জন্য ইসলামের মান ক্ষুন্ন হতে দিবোনা।
সেই ইন্টারভিউতে রাফিয়া আরশাদ হিজাবের জন্য সামান্য একটি আইন স্কুলের স্কলারশিপটি পায়নি। কিন্তু আইন বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। আর আজ ১৭ বছরের আইন অভিজ্ঞতার পর সে আমেরিকার ইতিহাসে প্রথম মুসলিম হিজাবী মহিলা জজ পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ইতিহাসে এই প্রথম কোন হিজাব পরা নারী বিচারকের পদে আসীন হলেন। গত সপ্তাহে বৃটেনের মিডল্যান্ডস সার্কিটের সহকারী বিচারক হিসেবে নিয়োগ পেলেন ৪০ বছর বয়সী রাফিয়া আরশাদ।
সব মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখবেন- এমন লক্ষ্য নিয়েই এগিয়ে যেতে চান তিন সন্তানের মা রাফিয়া। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই খবর জানা যায়।
তিনি জানান, ‘এটা অবশ্যই আমার জন্যে বড় খবর। আমি জানি এই অর্জন শুধু মুসলিম নারীদের জন্য নয়, সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অনেকে আমাকে মেইল করছেন। শুভকামনা জানাচ্ছেন। অনেক হিজাব পরা নারী বলছেন তারা এতদিন ভাবতেন হয়তো ব্যারিস্টার হতে পারবেন না। আমি সব মানুষের জন্য এই ভালোবাসা নিয়ে কাজ করে যেতে চাই।’
রাফিয়া জানান, ‘মাঝে মাঝে এখনো নানা ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। আমার পরিবার থেকে ১৯ বছর আগে আমার এক সাক্ষাৎকারের সময় হিজাব না পরার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। বাড়ির লোকেরা বলছিলেন, এটি পরলে আমার নম্বর কমে যাবে। আমি তাদের কথা শুনিনি।’
তিনি আরও জানান, ‘আমি নিজের সিদ্ধান্তে অটল ছিলাম। আমি যেমন তেমনই থাকতে চেয়েছি। ওই সাক্ষাৎকারে আমি টিকে যাই। ভালো বৃত্তি পাই। সেই ঘটনা আমাকে আরও আত্মবিশ্বাসী করে।’
‘আর আমার এই যাত্রায় অপরিসীম ধৈর্য নিয়ে সহযোগিতা করেছে আমার স্বামী। আমার স্বপ্ন পূরণে সমস্ত রকমের সহায়তা করেছে সে’, এমনটাও জানালেন তিনি।
পৃথিবীর সবাইকে একটি সমাজের নানা বৈচিত্র্যকে সম্মান করার আহ্বান জানিয়ে রাফিয়া বলেন তিনি হিজাবের জন্য যেমন চাকরি পাননি তেমনি হিজাবের জন্য চাকরি আটকেও থাকেনি।
৩০ বছর আগে রাফিয়া আরশাদকে লোকে বলত এই পোশাকে আইনজীবী হওয়া যাবে না। তখন তিনি কিশোরী। চোখে-মুখে বিচারক হওয়ার স্বপ্ন। মানুষের কথায় সেই স্বপ্ন ছাড়েননি। ছাড়েননি হিজাব পরার অভ্যাসও। কঠিন মনের জোরে রাফিয়া এতদিন বাদে বলতে পারছেন, ইচ্ছা থাকলে সব হয়!
৪০ বছর বয়সী রাফিয়া শুধু আইনজীবীই হননি। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে রীতিমতো ইতিহাস গড়েছেন। মেট্রো নিউজ বলছে, তিনিই দেশটির প্রথম ‘হিজাবি’ বিচারক।
রাফিয়া নিয়োগ পেয়েছেন গত সপ্তাহে। মিডল্যান্ডস সার্কিটের সহকারী বিচারক হিসেবে। তিন সন্তানের মা রাফিয়ার ইচ্ছা সব মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখবেন।
তিনি জানান, ‘এটা অবশ্যই আমার জন্যে বড় খবর। আমি জানি এই অর্জন শুধু মুসলিম নারীদের জন্য নয়, সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অনেকে আমাকে মেইল করছেন। শুভকামনা জানাচ্ছেন। অনেক হিজাব পরা নারী বলছেন তারা এতদিন ভাবতেন হয়তো ব্যারিস্টার হতে পারবেন না। আমি সব মানুষের জন্য এই ভালোবাসা নিয়ে কাজ করে যেতে চাই।’
রাফিয়া জানান, ‘মাঝে মাঝে এখনো নানা ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। আমার পরিবার থেকে ১৯ বছর আগে আমার এক সাক্ষাৎকারের সময় হিজাব না পরার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। বাড়ির লোকেরা বলছিলেন, এটি পরলে আমার নম্বর কমে যাবে। আমি তাদের কথা শুনিনি।’
তিনি আরও জানান, ‘আমি নিজের সিদ্ধান্তে অটল ছিলাম। আমি যেমন তেমনই থাকতে চেয়েছি। ওই সাক্ষাৎকারে আমি টিকে যাই। ভালো বৃত্তি পাই। সেই ঘটনা আমাকে আরও আত্মবিশ্বাসী করে।’
পৃথিবীর সবাইকে একটি সমাজের নানা বৈচিত্র্যকে সম্মান করার আহ্বান জানিয়ে রাফিয়া বলেন তিনি হিজাবের জন্য যেমন চাকরি পাননি তেমনি হিজাবের জন্য চাকরি আটকেও থাকেনি।
তিনি জানান, ‘আমাকে নিয়োগ দেয়ার সময় কর্মকর্তারা জানতেন না যে আমিই প্রথম হিজাব পরা বিচারক হতে যাচ্ছি। আমাকে নেয়া হয়েছে মেধার ভিত্তিতে; হিজাব পরি সে জন্য নয়’।
আমেরিকার ইতিহাসের প্রথম মুসলিম হিজাবী মহিলা জজ হয়েছেন রাফিয়া আরশাদ। যাকে নিয়ে ইতিমধ্যে মুসলিম বিশ্বের নেতারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করছেন এবং সকল মুসলিম দেশ থেকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন।
১৭ বছর আগে তাঁর এক চাকরির ইন্টারভিউতে তাঁর মা বলেছিলো হিজাব খুলে যেতে, না হলে তাঁকে সিলেকশন করবেনা।
রাফিয়া আরশাদ বলেছিলেন, আমার পর্দার জন্য আমাকে সিলেকশন না করলেও আমি কষ্ট পাবোনা কিন্তু দুনিয়ায় সাময়িক চাকরির জন্য ইসলামের মান ক্ষুন্ন হতে দিবোনা।
সেই ইন্টারভিউতে রাফিয়া আরশাদ হিজাবের জন্য সামান্য একটি আইন স্কুলের স্কলারশিপটি পায়নি। কিন্তু আইন বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। আর আজ ১৭ বছরের আইন অভিজ্ঞতার পর সে আমেরিকার ইতিহাসে প্রথম মুসলিম হিজাবী মহিলা জজ পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
আপনার মতামত দিন