জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা’ অনুসরণের জন্য সংশ্লিষ্টদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের সব পরিচালক/প্রকল্প পরিচালক, উপপরিচালক/বিভাগীয় উপপরিচালক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার/সুপারিনটেনডেন্ট, পিটিআই, উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার/ইন্সট্রাক্টর, ইউআরসিকে সম্প্রতি এ চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯’ পরিমার্জিত সংস্করণ জারি করা হয়েছে। এ নির্দেশিকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সরকারি প্রতিষ্ঠান ও কর্মচারীদের করণীয় নির্ধারণ এবং এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা নিশ্চিত করার বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, নির্দেশিকায় সামাজিক মাধ্যমে দাফতরিক ও ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট তৈরি এবং এতে পরিহারযোগ্য বিষয়াদি উল্লেখ করা হয়েছে। নির্দেশনার আলোকে সংশ্লিষ্ট দফতরাধীন কর্মচারীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিচের বিষয়গুলো অনুসরণের অনুরোধ করা হলো-
* জাতীয় ঐক্য ও চেতনার পরিপন্থি তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
* কোনো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে এমন বা ধর্মনিরপেক্ষতার নীতির পরিপন্থি কোনো তথ্য প্রকাশ করা যাবে না। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট বা আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে পারে এমন কোনো পোস্ট, ছবি, অডিও বা ভিডিও আপলোড, কমেন্ট, লাইক, শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
* সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে সরকার বা রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন কোনো পোস্ট, ছবি, অডিও বা ভিডিও আপলোড, কমেন্ট, লাইক, শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
* এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার বা নিজ অ্যাকাউন্টে ক্ষতিকারক কন্টেন্টের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মচারী ব্যক্তিগতভাবে দায়ী হবেন এবং সেজন্য প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
* সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কোনো ‘কন্টেন্ট’ বা ‘ফ্রেন্ড’ সিলেকশনে সকলকে সতর্কতা অবলম্বন এবং অপ্রয়োজনীয় ট্যাগ, রেফারেন্স বা শেয়ার করা পরিহার করতে হবে।
* ভিত্তিহীন, অসত্য ও অশ্লীল তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকতে হবে।
আপনার মতামত দিন