স্বাধীনতাত্তোর দেশের প্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)। ১৯৭৯ সালের ২২ নভেম্বর কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহের শান্তিডাঙ্গা-দুলালপুরে যাত্রা শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়টির। মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়টি ৪৩ বছর পেরিয়ে ৪৪ বছরে পা রেখেছে।
জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন, মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, বর্ণাঢ্য আনন্দ র্যালি, আলোচনা সভা, কেক কাটা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভাসহ আরও নানা পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে দিনটি।
উপস্থিত আছেন প্রফেসর ড. মোঃ আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া এবং রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ. এম. আলী হাসান। একই সময়ে প্রভোস্টগণ স্ব-স্ব হলে জাতীয় পতাকা ও হল পতাকা উত্তোলন করেন
পতাকা উত্তোলন শেষে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালে শান্তির প্রতীক পায়রা ও আনন্দের প্রতীক বেলুন উড়িয়ে ভাইস চ্যান্সেলর ৪৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়।
এছাড়া প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বাদযোহর কেন্দ্রীয় মসজিদ, আবাসিক এলাকার মসজিদ ও সকল হল মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৮৬ সালের ২৮ জুন মাসে দুটি অনুষদের চারটি বিভাগে ৩০০ শিক্ষার্থী নিয়ে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয় প্রতিষ্ঠানটির। বর্তমানে ৮টি অনুষদের ৩৬টি বিভাগে ১৩ হাজার ৪৬৮ শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছেন। এ র মধ্যে ছাত্র ৮ হাজার ৭৬৩ এবং ছাত্রী ৪ হাজার ৭০৫ জন।
এছাড়া ৪০৩ জন শিক্ষক, ৪৯৪ জন কর্মকর্তা, ১৩২ জন সহায়ক কর্মচারী এবং ১৫৮ জন সাধারণ কর্মচারী রয়েছে। শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিতে ৮টি আবাসিক হল (৫টি ছাত্র হল ও ৩ টি ছাত্রী হল) রয়েছে। এছাড়া আরো দুটি দশতলা হলের কাজ চলমান রয়েছে।
এ পর্যন্ত ৫৯৯ জনকে পিএইচ.ডি এবং ৭৫৮ জনকে এম.ফিল ডিগ্রি প্রদান করেছে। বর্তমানে ২৫০ জন পিএইচ.ডি এবং ৯৫ জন এম.ফিল গবেষণায় নিয়োজিত রয়েছেন। এ পর্যন্ত ৪টি সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যাতায়াতের জন্য পরিবহন পুলে গাড়ি রয়েছে ৪৯টি।
আপনার মতামত দিন