ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার প্রায় তিন মাস পেরিয়ে গেছে আগেই। কিন্তু গুচ্ছভুক্ত ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশই এখনো ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের পাঠদান শুরু করতে পারেনি। হাতেগোনা কয়েকটিতে নবীন বরণের পর শ্রেণি পাঠদান শুরু হলেও এখনো এ কার্যক্রমের বাইরে থেকে গেছে বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এখনো অন্তত এক হাজার আসন ফাঁকা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, আগামী ৩ সেপ্টেম্বর প্রথম বর্ষের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরুর তারিখ ঘোষণা করেছে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই তারিখে ক্লাস শুরুর কথা রয়েছে। আগামী ২ ও ৫ সেপ্টেম্বর নতুন সেশনের ক্লাস শুরু করবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়।
জানা গেছে, বছরের মাঝামাঝিতে গুচ্ছভুক্ত সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। গত ২০ মে মানবিক বিভাগের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মধ্যদিয়ে এবারের এই ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়। ২৭ মে ‘সি’ (বাণিজ্য) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ ৩ জুন বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের এ ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।
গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভর্তি পরীক্ষার প্রায় তিন মাস গড়ালেও অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় এখনো ক্লাস শুরু করতে পারেনি। ইতিমধ্যে হাতেগোনা দু’একটি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু করলেও একইসঙ্গে চালিয়ে নিচ্ছে ভর্তি কার্যক্রম। কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখন পর্যন্ত ক্লাস শুরুর বিষয়ে সিদ্ধান্তই নিতে পারেনি। আর কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কার্যক্রম শেষ হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ার টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নাছিম আখতার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চাইলে নিজেদের মতো করে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু করে দিতে পারেন। আসন কেমন ফাঁকা থাকে, তা আমরা আগামী মাসের শুরুর দিকে দেখব।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আসন ফাঁকা রেখে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করার পক্ষে নন অধ্যাপক নাছিম আখতার। তিনি বলেন, আমাদের উচিত এসব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন ফাঁকা রেখে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ না করা। তবে কতদিন এ ভর্তি চলতে থাকবে, তা কমিটির পরবর্তী মিটিং ছাড়া বলা যাবে না। এখনো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রায় এক হাজার আসনের মতো ফাঁকা রয়েছে। তাই তুলনামূলক পিছিয়ে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কবে নাগাদ শ্রেণি পাঠদান শুরু হতে পারে, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
আপনার মতামত দিন