বন্যা পরিস্থিতির কারণে চলতি বছরের সিলেট বিভাগের এইচএসসি ও সমমানের (মাদ্রাসা ও কারিগরি) পরীক্ষা আগামী ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। তবে সিলেট বিভাগে পরীক্ষা পেছালেও অন্যান্য বিভাগগুলোতে ৩০ জুন থেকেই শুরুর কথা জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সংশ্লিষ্টরা। এমন পরিস্থিতিতে এবারের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রস্তুতিতে পিছিয়ে পড়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন সিলেট বিভাগের প্রায় এক লাখ এইচএসসি পরীক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীরা মনে করেন, বন্যা পরিস্থিতির কারণে সিলেট বিভাগের এইচএসসি, মাদ্রাসা ও কারিগরি পরীক্ষা ১৫ দিন পেছানো হয়েছে। বিষয়টি যতটুকু শিক্ষার্থীদের উপকারে আসবে তার চেয়ে পরবর্তীতে তাদের বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রস্তুতিকে হুমকির মুখে ফেলবে। কারণ এই ১৫ দিনে অন্য বোর্ডের শিক্ষার্থীরা অনেক বেশি এগিয়ে যাবে। ফলে সামগ্রিকভবে এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে যাবে। এই সময়ে প্রতিটি দিন ভর্তিচ্ছুদের কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
জানা যায়, এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। এরমধ্যে সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে প্রায় ৮০ হাজার এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে প্রায় এক লাখ শিক্ষার্থী সিলেট বিভাগ থেকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। তবে এই বিভাগে আগামী ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করা হলেও ৯ জুলাই থেকে যে পরীক্ষাগুলো হওয়ার কথা ছিল, সেগুলো যথারীতি হবে। অন্যদিকে, সববোর্ডের পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর সিলেট বিভাগের স্থগিত হওয়া পরীক্ষা শুরু হবে। তবে এখনও রুটিন প্রকাশ করা হয়নি।
রাসেল আহমেদ নামে সিলেট বিভাগের এইচএসসি পড়ুয়া একজন শিক্ষার্থী জানান, এটা সরাসরি বৈষম্য। কারণ যে সকল শিক্ষার্থীর এক্সাম পরে শেষ হবে তারা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় অনেক পিছিয়ে প্রথমেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়বে। যাদের পরীক্ষা ১৫ দিন পরে শেষ হবে তারা এই ১৫ দিনে অন্যদের চেয়ে যথেষ্ট পিছিয়ে পড়বে।
এ বিষয়ে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার জানান সিলেট বিভাগের পরীক্ষা ৯ জুলাই থেকে শুরু হবে। বাকি সারাদেশে শুরু হবে ৩০ জুন থেকে। কি হবে না হবে সেটা আমরা পরে দেখব।
তিনি আরও বলেন, ৩০ জুন থেকে পরীক্ষা পেছানোর বিষয়ে শিক্ষার্থীদের দাবি অযৌক্তিক, এটা মানার মত কোন যৌক্তিকতা নাই। পরীক্ষা পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। বোর্ড এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় ৩০ জুন থেকে পরীক্ষা শুরু করতে ইতোমধ্যে সকল প্রকার কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। শিক্ষার্থীদের উচিত অযথা সময় নষ্ট না করে পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়া।
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ শাহ আলমগীর দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, পরীক্ষা যখনই শেষ হোক, সব বোর্ডের ফলাফল একই সময়ে প্রকাশিত হবে। সব বোর্ডের শিক্ষার্থীদের জন্য ভর্তি পরীক্ষার সময়ও একই। বোর্ড সভাপতি হিসেবে এরচেয়ে বেশি কিছু বলার সুযোগ নাই। কারণ সিদ্ধান্তগুলো সকলের সমন্বয়ে নেয়া হয়ে থাকে।
আপনার মতামত দিন