কম্পিউটারে লেখার জন্য আছে আলাদা ভাষা। লেখার ফন্ট তৈরি করার জন্য আছে কায়দা-কানুন। সুতন্বী এমজে বাংলা লেখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ফন্ট। বিজয় ব্যবহার করে বাংলা লিখতে গেলে এ ফন্ট ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়। সুতন্বী এমজে ফন্টের নামকরণে বিজয়ের উদ্ভাবক মোস্তফা জব্বারের ভূমিকা রয়েছে।
সুতন্বী হল মোস্তফা জব্বারের মেয়ে সুনন্দা শারমিন তন্বীর নামে। আর এমজের অর্থ হল মোস্তফা জব্বার। আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) মেয়ের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ফেসবুক পেজে তিনি লিখেছেন, ‘শুভ জন্মদিন সুনন্দা শারমিন তন্বী-বিজয় বাংলা সফটওয়্যারের সুতন্বী ফন্ট যার নামে। আমার ছোট মেয়ে।’
কম্পিউটারে বাংলা ভাষার ইতিহাস তৈরি করা বিজয় কি-বোর্ড আর সুতন্বী ফন্টের গল্পের ক্যানভাস অনেক ব্যাপক। নানা কার্যক্রম ও ঘটনার পর ১৯৮৭ সালের সেপ্টেম্বরে ফন্ট তৈরিতে হাত দেই। সে মাসেই প্রথম ফন্ট তৈরি হলো ‘আনন্দ’। বাংলার প্রথম মৌলিক ফন্ট।
আনন্দপত্রে প্রথম এ ফন্ট ব্যবহার। এরপর দৈনিক আজাদ, দৈনিক দেশ, বাংলার বাণীসহ সবাই ব্যবহার করতে থাকে। ১৯৮৮ সালে এই আনন্দ ফন্ট হয়েছে সুনন্দা, সুনন্দা থেকে সুতন্বী। তন্বীর আসল নাম সুনন্দা শারমীন।
ওয়েবসাইটে একই সঙ্গে বাংলা ও ইংরেজি লেখা দেখার জন্য ইউনিকোড ফন্ট ব্যবহার করা হয়। বিজয় কি-বোর্ডের বোতামগুলোতে বাংলা লেখা থাকায় বিজয় সফটওয়্যার ইনস্টল করে সুতন্বী এমজে (SutonnyMJ) ফন্ট নির্বাচন করে খুব সহজেই বাংলা লেখা যায়।
আপনার মতামত দিন